Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

বিস্তারিত

প্রশাসন :
১৮৬৩ সালে বাঘারপাড়া থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৩ সালে বাঘেরপাড়া থানাকে উপজেলায় পরিণত করা হয়। ১টি পৌরসভা, ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ, ১৫৫টি মৌজা, ১৯১টি গ্রাম নিয়ে গঠিত এই উপজেলা। বাঘারপাড়া থানার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো: আবুল হোসেন এবং প্রথম নির্বাহী অফিসার জনাব মো: তোফাজ্জেল হোসেন।

 

জনসংখ্যা :
বাঘারপাড়া থানার মোট জনসংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৯৫ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ ৫১.২১%, মহিলা ৪৮.৭৯%, মুসলমান ৮০.১৫%, হিন্দু ১৯.৭২%, অন্যান্য ০.১৩%।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান :
মসজিদ ৩৩৭টি, মন্দির ৪৬টি, গীর্জা ১টি, পবিত্র স্থান ১টি।

সাক্ষরতা :
গড় সাক্ষরতা ৩৪.৫%, পুরুষ ৪১.৮% ও মহিলা ২৬.৯%।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান :
কলেজ ১৬টি, কলেজিয়েট স্কুল ২টি, উচ্চ বিদ্যালয় ৩৫টি, মাদ্রাসা ৪৪টি, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৩টি, বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৪। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে পূর্ব পাইকপাড়া আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৩৪), বাকরী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩৫)।

সাংস্কৃতিক সংগঠন :
ক্লাব ৫২টি, গ্রন্থাগার ১টি, থিয়েটার গ্রম্নপ ৩টি, অপেরা দল ১টি, সিনেমা হল ১টি, মহিলা সংগঠন ৩টি, খেলার মাঠ ৩৭টি।

প্রধান পেশা :
কৃষি ৫৮.৫৪%, কৃষি শ্রমিক ২৪.১০%, মজুরী শ্রমিক ১.৮৯%, ব্যবসা বাণিজ্য ৮.০৫, চাকরি ৩.২৯, মৎস্য চাষ ১.১৫%, শিল্প ১%, পরিবহন ১.৬৯%, অন্যান্য ৪.২৯%।

জমির ব্যবহার :
মোট আবাদযোগ্য জমি ৪৭,৪১৩ একর বা ১৯১৮৭.৩৭ হেক্টর, পতিত জমি ৩৬.৪২ হেক্টর, একক ফসল ১৩.৮৫%, দ্বিফসল ৬৪.৪৩% এবং ত্রিফসল ২১.৭২%।

ভূমি নিয়ন্ত্রণ :
কৃষকদের মধ্যে ১৬.৯৮% ভূমিহীন, ৫৫% ক্ষুদ্র, ২১.৬৭% মাঝারী এবং  ৬.৩৫% ধনী।

প্রধান ফসল :
ধান, গম, পাট, ইক্ষু, আলু, মরিচ, সরিষা, বেগুন ও পটল। বিলুপ্ত অথবা প্রায় বিলুপ্ত ফসলের মধ্যে রয়েছে তিসি, চীনা, কাউন।

প্রধান ফল :
আম, কাঁঠাল, লিচু, কালোজাম, পেঁপে, পেয়ারা, তাল ও নারিকেল।

যোগাযোগ সুবিধাদি :
পাকা সড়ক ২১.৮৫ কিলোমিটার, আধাপাকা ১৩.৯ কিলোমিটার, কাঁচা রাস্তা ৫৬ কিলোমিটার, জলপথ ২৫ কিলোমিটার।

ঐতিহ্যগত পরিবহন :
পাল্কী, দুলকী ও তাবুরিয়া নৌকা। এ ধরনের পরিবহন হয় বিলুপ্ত অথবা প্রায় বিলুপ্ত।

কুঠির শিল্প :
তাঁত, বাঁশের কাজ, স্বর্ণকার, কর্মকার, কুম্ভকার, কাঠের কাজ, দর্জি, ওয়েল্ডিং।

হাট বাজার ও মেলা :
হাট ও বাজার ১৩টি এবং মেলা ৭টি। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে চড়াভিটা, নারিকেল বাড়িয়া, ভাঙ্গুরা, ছাতিয়ানতলা ও বসুন্দিয়া।

প্রধান রপ্তানী :
কাঁঠাল, কলা, পাট ও পেঁপে।

এনজিও তৎপরতা :
তৎপরতা চালাচ্ছে এমন গুরুত্বপূর্ণ এনজিওগুলো হচ্ছে ব্র্যাক, আশা, মহিলা সংঘ, পীস ফাউন্ডেশন, অগ্নিশিখা ও প্রশিকা।

স্বাস্থ্য কেন্দ্র :
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১টি (৩১ বেড), স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ২টি ও স্যাটেলাইট ক্লিনিক ৩টি।

অন্যান্য তথ্য :
স্যানিটারী ল্যাট্রিন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪৮%, বিশুদ্ধ পানি ব্যবহারকারীর হার ৯০%, আর্সেনিক মুক্ত নলকূপের সংখ্যা ১৬৪৯টি,  স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারকারীর হার ৪৮%, আশ্রয়ন প্রকল্প ৪২টি পরিবার, আবাসন প্রকল্প ০৩টি।


তথ্য সূত্র :
বাংলা পিডিয়া ওয়েবসাইট

যশোর ইতিবৃত্ত (মনোরঞ্জন বিশ্বাস)